Story of the Month

  • Home > Story of the Month

মন্তেশ্বরে আলোর ঠিকানা পেল রূপান্তরকামীরা

দেনুড় বাংলার একটি অতি প্রাচীন জনপদ । হিন্দুদের অত্যন্ত পবিত্র এক তীর্থভূমি । এই গ্রামেই চৈতন্য ভাগবতের রচয়িতা বৃন্দাবন দাস জন্মেছিলেন । আবার শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর সন্ন্যাস গ্রহণের দীক্ষাগুরু কেশবানন্দের বাড়িও এখানে । শ্রীমত ভাগবতের দশম স্কন্দ রচনা পর্ব দেনুড়ে ঘটেছিল । সেই পুঁথি এখনও মন্তেশ্বর ব্লকে সুরক্ষিত আছে । মন্তেশ্বর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক প্রাচীন ইতিহাস । তথ্য বলছে, মন্তেশ্বর থানার শুকরো বা শূর বলে যে গ্রাম আছে, তার প্রাচীন নাম ছিল শূরনগর । মহারাজ আদিশূরের বৃদ্ধাবস্থায় গৌড়ীয় বৌদ্ধগণ তাকে সিংহাসন চ্যুত করে পরম বৌদ্ধ-গোপাল দেবকে সিংহাসনে বসান । তখনই আদিশূরের পুত্র ভূশূর গৌর ত্যাগ করে রাড় দেশে ব্রাহ্মণ রাজাদের সান্নিধ্যে শূরনগর স্থাপন করার পাশাপাশি সেখানে রাজধানীও প্রতিষ্ঠা করেন । ভূশূর ও তাঁর পুত্র ক্ষীতিশূর ব্রাহ্মণ ধর্ম পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করতে যত্নবান হয়েছিলেন । মন্তেশ্বরের ব্লকে গিয়ে কান পাতলে আজও সেই সব ইতিহাস কথা বলে ওঠে ।

উন্নয়নের জলছবি গৌরীপুরের দেবদেবীরা

বেশ কিছুদিন ধরেই বাঁকুড়া জেলা সংবাদ শিরোনামে ।একটু ভেঙে বলি । এই জেলার বাঁকুড়া-১ ব্লকের গৌরীপুরে রয়েছে ৫৫০ শয্যার কুষ্ট হাসপাতাল । বর্তমানে হাসপাতালে রোগী রয়েছেন ৪৬৮ জন । তবে কুষ্ট থেকে মুক্তির পরও অনেকেই থেকে গিয়েছেন হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় । এরই মাঝে বহুল প্রচলিত এক সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় মাত্র ৭-৮ লাইনের একটি খবর পড়ে চোখ আটকে যায় । গৌরীপুর হাসপাতালের পাশেই থাকা মঙ্গলচন্ডী কুষ্ট কলোনিতে থাকা বেশ কয়েকটি পরিবার আবাস যোজনা ঘর নিতে অস্বীকার করেছে । তাদের বক্তব্য , ব্লক প্রশাসনের সহায়তায় মাথা গোজার ঠাঁই কিছুটা হলেও যখন রয়েছে , তখন নতুন করে আর সরকারি ঘর নেওয়ার কী প্রয়োজন ? বরং আবাস যোজনার ঘর পাক তাদের চেয়েও প্রান্তিক মানুষেরা । মনে হয়, মঙ্গলচন্ডী কলোনির কুষ্ঠ রোগ থেকে সেরে ওঠা ওইসব .......

বাল্যবিবাহ রোধে আদৃতা'ই এখন রাজ্যের মুখ

মাধ্যমিক পরীক্ষায় যতজন ছাত্রীর পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল, কার্যত দেখা গেলো সংখ্যাতপ্রায় পঞ্চাশ শতাংশের ও নিচে। অনেকেই ভেবেছিলেন এর মূল কারণই হল অতিমারী। ফতেপুর, নিমতলা সহ গোটা ব্লকের ১৮ টি বালিকা বিদ্যালয় ঘুরে নদীয়া জেলার হরিণঘাটা ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দেখলেন ড্রপআউট শুধুমাত্র অতিমারীর কারণে নয় । বাড়ি থেকে জোর করে বিয়ে দেওয়া কিংবা বাড়ির অমতে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করা--এগুলিই ড্রপআউটের আসল কারণ । ড্রপআউট রুখতে কন্যাশ্রী মেয়েদের সচেতন করার জন্য ১৮টি বালিকা ও কো-এডুকেশন স্কুলে রাখা হয়েছে 'মনের জানালা' বাক্স । ওই বাক্সে সকলের অগোচরে চিরকুট ড্রপ করে দেওয়া যায় । স্কুলের নোডাল টিচার প্রেয়ার লাইনেই তার সমাধান সূত্রে দেবেন। হরিণঘাটা ব্লক ঘুরে এসে 'আদৃতা' নিয়েই লিখেছেন ---মালয় ঘোষ।

কুচবিহার: ভেষজ চাষে পথ দেখাচ্ছে কুচবিহার

না, কেবল তুলসী গাছে জল দিয়ে আর সাঁঝের বেলায় প্রদীপ দেখিয়েই নিজেই তুফানগঞ্জের ভোলাপেটা, চারালজানি, বাজাজামা চিলাখান গ্রামের মেয়েরা তাদের কর্তব্য শেষ করলেন না। স্বনির্ভর দলের সদস্য হিসেবে তারা তুলসীর সঙ্গে অশ্বগন্ধা, ভৃঙ্গরাজ, কালমেঘ, কুলেখাড়া আর স্টিভিয়ান চাষ করলেন এবং সমগ্র গ্রামবাসী সহ পঞ্চায়েতে সদস্য, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং হাসপাতালের কর্মীদের রীতিমতো প্রশিক্ষিত করে তুললেন ভেষজ গ্রাম নির্মাণে। জলভূমির কাছে থানকুনি, বেড়ায় বাসক, ওলটকম্বল, অন্তর্বর্তী ফসল হিসেবে, ব্রাম্ভি কালমেঘ, ছায়া অঞ্চলে আদা, হলুদ ইত্যাদি গাছের পরিচর্যার ব্যাকরণ গোটা ব্লকের মানুষের এখন মুখে মুখে ফিরেছে। এই উৎসাহ সিঞ্চনের প্রধান উদ্যানপালক ড বাসক দিন্দা নিজেই বললেন এই নব্য, স্বয়ম্বর পরিবেশ রচনার কাহিনী।

অবলা ও সবলাদের কথা

মানব সভ্যতায় নারী ও পুরুষ সমান অবদান অনস্বীকার্য l নারীকে বাদ দিয়ে পুরুষের একার পক্ষে সমাজের উন্নতির কথা ভাবা যায় না। দু দশক আগের সমাজ ব্যবস্থা কুসংস্কার, নানা ধরনের ধর্মীয় অনুশাসন বঞ্চনা ও বৈষম্যের দারুন নারীরা সর্বাঙ্গীণ বিকাশ ও পূর্ণ মর্যাদা থেকে বঞ্চিত ছিল। নারীর সার্বিক উন্নয়নের তার নিজস্ব চিন্তাভাবনার বা স্বয়ংসম্পূর্ণতার বিকাশ এই বোঝায়। লেখাপড়া ও বিভিন্ন খেলাধুলা ও বিভিন্ন অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা আজ পুরুষদের সমকক্ষ হতে সক্ষম হয়েছে। তাই সমাজের সর্বক্ষেত্রে তার যথাযথ মূল্যায়ন করা উচিত। সরকারিভাবে নারীদের ক্ষমতায়ন সফল করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তবু কিছু কিছু পিছিয়ে পড়া জনজাতি অধ্যুষিত প্রত্যন্ত এলাকার নারীরা অনেকাংশই পিছিয়ে। যেখানে উন্নত দেশের নারীরা সর্বক্ষেত্রে পারদর্শী সেখানে আমাদের দেশের পিছিয়ে পড়া এলাকার মেয়েদের ক্ষমতায়নে অনেক ক্ষেত্রে বাধা.........